প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়া
- The Conveyor
- Apr 8
- 1 min read

৮ এপ্রিল, ২০২৫: তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রবীণ সাংসদের বেনজির আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তৃণমূলের সংসদীয় দলের ‘গৃহযুদ্ধ’ হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নেমে এল একেবারে হাটের মাঝে। এনে ফেললেন সেই যুদ্ধের এক পক্ষ প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের তিন সাংসদকে নিশানা করেছেন লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ।
দলের সাংসদদের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, ‘দু’নম্বরি লোকেদের একজায়গায় আসতে বেশি সময় লাগে না। মঙ্গলবার নারদা ইস্যু তুলে সৌগত রায়কে বেলাগাম আক্রমণ শানালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী চোর বলেও সরাসরি তোপ দাগলেন তিনি। তারই পাল্টা জবাব দেন সৌগত রায়। পাল্টা সৌগত রায় বলেন, “আমি সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অংশগ্রহণ করিনি। শুনলাম এক মহিলা সাংসদের সঙ্গে কল্যাণের দারুণ ঝগড়া হয়। কল্যাণ নাকি মারতে উদ্যত হয়েছিল। মহিলা সাংসদকে পুলিশে যেতে হয়েছিল। আমাদের ও অন্যদলের সাংসদরা কল্যাণের ব্যবহারের নিন্দা করেন। আমি মনে করি না দলের কথার বাইরে বলা উচিত। আমি মনে করি এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।"
এদিন নাম না করে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বেলাগাম আক্রমণ করেন কল্যাণ। বলেন, এক মহিলা সাংসদ শুধু মোদী আর আদানির বিরুদ্ধেই সরব কেন? বিজেপির অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে কেন তিনি মুখ খোলেন না?’ বাদ যাননি বর্ধমান – দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদও। বলেন, ‘৪০ বছর আগে কে ক্রিকেট খেলত তাতে এখন কী?’ তিনি বলেন, 'মমতাদি বুঝবে কী করবে না করবে। তদন্ত তো ওরা চেয়েছে, তদন্ত করুক। বলে দিক, ছেড়ে দিয়ে চলে যাব। নারদার চোর সৌগত রায়ের মতো সাংসদদের নিয়ে দল চলুক।’
মহুয়ার তরফে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কল্যাণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মহুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করর চেষ্টা করা হলে কোনও সাড়া মেলেনি তাঁর তরফে। তবে দেখার, দলের নেত্রী কি সিদ্ধান্ত নেন।
Yorumlar