top of page

পুজোয় জয় রাইডের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা ডিএইচআর- এর


কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: পুজোয় জয় রাইডের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)। পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। হোটেল, রিসর্ট এবং ট্রেনের বুকিং দেখে মনে করা হচ্ছে গত বছরের থেকে এ বছর পুজোয় পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

গত কয়েক বছরে জয় রাইডের চাহিদা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এনজিপি থেকে দার্জিলিং এর মধ্যে প্যাসেঞ্জার টয় ট্রেন চলে। কিন্তু সময় বেশি লাগে বলে সেটা তেমন জনপ্রিয় নয়। তাই অনেকেই টয় ট্রেনে জয় রাইড পছন্দ করেন। পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দেখতে ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতাই আলাদা।

ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর প্রিয়াংশু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে দার্জিলিং-ঘুম আটটি জয় রাইড চলে। পুজো পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ১৫ অক্টোবর থেকে রাইডের সংখ্যা আরও চারটি বাড়ানো হবে। তার সময়সূচি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।

জনপ্রিয়তার জন্য এখন সারা বছরই পাহাড়ে একাধিক জয় রাইড চলে। দুই রকম ট্রেনের মাধ্যমে জয় রাইড করানো হয় পর্যটকদের। ডিজেল ইঞ্জিন এবং স্টিম ইঞ্জিন। স্টিম ইঞ্জিনের জয় রাইডে একদম পুরোনো দিনের কু - ঝিক,ঝিক ট্রেনের আমেজ পাওয়া যায়। যে কারনে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা দিয়েছে, সেই ব্যাপারটা অনুভব করা যায় এই স্টিম ইঞ্জিনের ন্যারোগেজ লাইনে চলা টয় ট্রেনে করে সফর করলে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে কথায়, টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা আন্তর্জাতিক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে মোট ১ লক্ষ ৫৬ হাজার যাত্রী হয়। আয় হয় ১৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা।

স্ট্রিম ইঞ্জিনের জয় রাইডের ভাড়া দেড় হাজার টাকা। আর ডিজেল ইঞ্জিনের ভাড়া এক হাজার টাকা। আগের থেকে ভাড়া কিছুটা বাড়লেও পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে এর জনপ্রিয়তায় কিন্তু ভাঁটা পড়েনি।


Top Stories

bottom of page