পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার আগে পাকিস্তান হাইকমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন জ্যোতি
- The Conveyor
- May 21
- 2 min read

২১ মে, ২০২৫: নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনে নিযুক্ত পাক অফিসার এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোদের কথা আগেই জানা গিয়েছিল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেরায় এ কথা নিজেই স্বীকার করেছেন ধৃত ইউটিউবার। হাইকমিশনে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতি। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়া, পাক হাইকমিশনের বেশ কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার একটি ভিডিয়োও নিজের সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন ওই ইউটিউবার। সে সব কথা এ বার নিজের মুখে জ্যোতি স্বীকার করেছেন বলে দাবি করল পুলিশ।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার আগে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন জ্যোতি মলহোত্রা। জেরায় তিনি নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করল হরিয়ানা পুলিশ। হিসার পুলিশের মুখপাত্র বিকাশ কুমার জানান, জ্যোতি জেরায় স্বীকার করেছেন যে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দানিশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটে এপ্রিল মাসে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জন নেটপ্রভাবীর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। ওর তিনটে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং হরিয়ানা শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির আইটি প্রধান হরকিরত সিংহের দু’টি মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পাক গুপ্তচর অভিযোগে গ্রেফতার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা বাংলাদেশ সামনে এল। সূত্রের খবর, ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এই জ্যোতি নাকি আইএসআই-কে সংবেদনশীল তথ্য ভাগ করেছিল। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জ্যোতির বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে যাওয়ার কথা ছিল। জ্যোতির ভিসা আবেদন সংক্রান্ত নথি থেকেই সেই তথ্য জানা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইউটিউবারের ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সব অ্যাকাউন্ট থেকে দুবাইয়ে আর্থিক লেনদেনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই লেনদেনের পরিমাণ জ্যোতির আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাঁর অ্যাকাউন্টের সমস্ত লেনদেনই এখন গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, দেশের মধ্যে বড় কোনও গুপ্তচর নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকতে পারে। আর জ্যোতি হয়তো সেই চক্রেরই অংশ। পাকিস্তান এবং চিন ছাড়াও থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং ইন্দোনেশিয়াতেও গিয়েছিলেন জ্যোতি। উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশকে 'পার্সোনা নন গ্রাটা' ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, আইএসআই হ্যান্ডলার আলি হাসানের সঙ্গে জ্যোতির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ করতেন দু’জন। সেখানেই আলি হাসানকে জ্যোতি বলেছিলেন,‘পাকিস্তানে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন।’
এর পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনের আরও এক আধিকারিককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করল ভারত সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই পাকিস্তানি আধিকারিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাক হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ওই পাকিস্তানি আধিকারিকের নাম প্রকাশ করেনি ভারত। তবে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে স্পষ্ট, ওই পাক আধিকারিক এমন কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা তাঁর পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
Comentários