পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না বাড়ে- নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
- The Conveyor
- May 8
- 2 min read

কলকাতা, ৮ মে, ২০২৫: দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, সচিব, হিমঘর, ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করেন। যুদ্ধ লাগতে পারে দেশে তার ফলে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। লাগামছাড়া দামের জেরে নাভিশ্বাস উঠতে পারে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্য়বিত্ত শ্রেণি মানুষজনের। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কালোবাজারি নিয়ে রাজ্যের প্রশাসন এবং ব্যবসায়ী মহলকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বৈঠক করেন ব্যবসায়ী এবং টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে। আর সেখানেই শাক–সবজি–মাছের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যে সুফল বাংলা ভাল কাজ করছে। আরও ১০০ আউটলেট হবে। বাজারের থেকে কম দামে সুফল বাংলা দিচ্ছে সবজি। কিন্তু বাজারে যেন দাম না বাড়ে এটা দেখতে হবে। রাজ্য সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি টাস্ক ফোর্স আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকের পরই আজকের বৈঠকে যোগ দিতে টাস্ক ফোর্স সদস্যরা তৎপর হয়ে ওঠে। একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে ছিলেন।
সামগ্রিক ভাবে প্রশাসনকেও সতর্ক করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘টাস্ক ফোর্সকে সঙ্গে নিয়ে বাজারগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে হঠাৎ হানাও দিতে হবে।’’ হঠাৎ হানা বা ‘সারপ্রাইজ় ভিজ়িট’-এর নামে যাতে অনিয়ম না-হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, মুনাফার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশি করে পণ্য পাঠানো বা মজুতদারি করা যাবে না। দেশের এই গৌরবের মুহূর্তে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যুদ্ধের জিগির তুলে অত্যাবশ্যকীয় নানা পণ্য, খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়ে মোটা মুনাফা করার চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।
‘অপারেশন সিঁদুরে’ নিহত জঙ্গিদের কফিনে পাকিস্তানি জাতীয় পতাকা জড়ানো। ‘রাষ্ট্রীয় মর্যাদা’য় তাদের শেষকৃত্য হয়েছে। এ ভাবেই বৃহস্পতিবার আরও এক বার পাকিস্তানের জঙ্গি-যোগের কথা প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। উইং কমান্ডার ব্যোমিকা বলেন, ‘‘পাকিস্তানি সেনাঘাঁটি নিশানা করা হয়নি। ভারতে সেনাঘাঁটিকে নিশানা করা হলে উচিত জবাব দেওয়া হবে।’’ কর্নেল সোফিয়াও জানান যে, নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, রাজৌরি, পুঞ্চে লাগাতার তোপ দাগছে তারা। মর্টার ছুড়ছে। তার জেরে ১৬ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা, পাঁচ শিশু।
Comments