top of page

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডি- কে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের

Updated: Aug 11, 2023


কলকাতা, ১০ অগাস্ট: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিআইডি। এদিন রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, " হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া আদালতের নজরদারিতে তদন্তের জন্য গঠন করা সিটের (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা বিশেষ তদন্তকারী দল) সদস্যদের কি ইচ্ছেমতো বদল করা যায়? সেক্ষেত্রে এখানে কী ভাবে তা হল?" সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আরও বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।”

বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির ছিলেন প্রধান তদন্তকারী আধিকারিকসহ তদন্তকারী দলের ৪ জন। তাঁদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করি, কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে না। সিটের সাত সদস্যের নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী জানান, সাত জনের পদমর্যাদা উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগস্ট। বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানির দিন সাত জন তদন্তকারীকেই উপস্থিত থাকতে হবে। উল্লেখ করতে হবে প্রত্যেকের নাম এবং পদমর্যাদা।

উল্লেখ্য, ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ইতিমধ্যে অসীম তিওয়ারি ও অনিমেশ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে CID. মামলায় রাজ্যের সমস্ত জেলার DI-দের হলফনামা দিতে বলে আদালত। সেই হলফনামায় দেখা যায় গোটা রাজ্যে নথি জাল করে চাকরি পাওয়া এরকম ৩৬ জন শিক্ষক রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি করছেন, ১১ জনের নথি পাওয়াই যায়নি, আর ৭ জন মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন।

বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও নিয়েছেন অনিমেষ তিওয়ারি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী। ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে বাবার স্কুলে চাকরি পান অনিমেষ। অভিযুক্ত অনিমেষের নিয়োগ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তখন জানায়, ওই নামে কোনও নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। সোমার অভিযোগ, তাঁকে বঞ্চিত করে ওই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ।

এদিন বিচারপতি বলেন, হলফনামায় স্পষ্ট যে এই দুর্নীতি কারও মস্তিষ্কপ্রসূত।


 
 
 

Comentários

Avaliado com 0 de 5 estrelas.
Ainda sem avaliações

Adicione uma avaliação

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page