নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সঙ্গীতের স্তবক, সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হল

কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিলেন, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কোন স্তবকটি গাওয়া হবে। কত সময়ের মধ্যে সেটি গাওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে পাশাপাশি এ-ও বলা হয়েছে যে, রাজ্য সঙ্গীত চলাকালীন উঠে দাঁড়ালে ভাল। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের নির্দেশিকাতে রাজ্য সঙ্গীত পরিবেশিত হওয়ার সময়ে উঠে দাঁড়ানো ‘বাধ্যতামূলক’ বলা হয়নি। বলা হয়েছে, ‘উঠে দাঁড়ালে ভাল’।
ব্রিটিশ শাসনকালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ গানটি লিখেছিলেন। রাজ্য সঙ্গীত সম্পূর্ণ করার জন্য এক মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হবে, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল- পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন— এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান’।|
রাজ্য সংগীতে 'বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন'- জায়গাটি গাওয়ার সময় গত বছর 'বাংলা'- র করা হয়েছিল, 'বাঙালি' র জায়গায়। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। শাসকদলের অনেকে একান্ত আলোচনায় একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বাংলায় বাঙালি বাদ দিয়েও অন্যেরা থাকেন। তাঁরা বাঙালি না-হলেও বাংলার মানুষ। সে কারণেই ওই বদল। নতুন নির্দেশিকায় ফের রবীন্দ্রনাথ রচিত 'বাঙালি' শব্দটিই ফিরে এসেছে। যা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।

রাজ্য সরকারের তরফে ২০২৩ সালে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়ে জোড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এক, পয়লা বৈশাখকে ‘রাজ্য দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। এবং দুই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি হবে পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজ্য সঙ্গীত’। যদিও মূল নির্দেশিকায় গানের কথায় 'বাঙালি' ই ছিল, পরে গাওয়ার সময় পাল্টে ফেলা হয়েছিল। সময় ছিল ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড, সেটা আজ ১ মিনিট করা হয়েছে।
コメント