top of page

দুই রাজ্যের গামছা জোড়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে




কলকাতা, ৩ এপ্রিল: সম্প্রতি গুয়াহাটিতে বাংলা সাহিত্য সভা, আসাম নামক একটি সংগঠনের অধিবেশনে অতিথিদের স্বাগত জানাতে অসমিয়া ও বাঙালি গামছা অর্ধেক কেটে জোড়া লাগিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে সারা রাজ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, দীর্ঘকাল ধরে অসমিয়া গামছাকে তাঁরা তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক বলে মনে করেন।

তাই এভাবে অসমিয়া গামছাকে বিকৃত করে সমগ্র অসমিয়া জাতির ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া ক্ষমাহীন অপরাধ। তিনি আরও বলেন, তেমন কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হলে অবশ্যই বুঝতে হবে এসবের পেছনে সরকারি মদত রয়েছে।

গত কয়েক দিনে, এই নিয়ে কিছু সংগঠন এবং ছাত্রছাত্রী গোষ্ঠী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলা সাহিত্য সভার তরফে অতিথিদের সম্মান জানাতে এভাবে দুই ধরনের গামছা সেলাই করাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কৃষক সংগ্রাম সমিতি, বীর লচিত সেনা-সহ অনেকেই বাংলা সাহিত্য সভার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে।

উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্য সভা ২৫ মার্চ থেকে শ্রী হিতেশ্বর সাইকিয়া ভবন, মালিগাঁও, গুয়াহাটিতে দু’দিনের সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে অসমের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু, অসম সাহিত্য সভার পদাধিকারীরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিকে এই নতুন গামছা পরিয়ে সম্মানিত করা হয়।

তবে এই বিতর্ক বাড়তে দেখে ক্ষমা চেয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে বাংলা সাহিত্য সভা। যদিও বাংলা সাহিত্য সভা অসমিয়া গামছা মাঝ খান থেকে ছেঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন প্রধান উপদেষ্টা সমুজ্জল ভট্টাচার্য এই ঘটনার বিরোধিতা করে বলেন, ‘এই বস্ত্রটি আমাদের আত্মসম্মান। এটি জিআই ট্যাগ পেয়েছে। তাই, এর মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। কেউ একে অপমান করতে পারবে না, সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে একে রক্ষা করার। এই গামছা অসমিয়া জনগণের আত্মসম্মানের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।


Top Stories

bottom of page