তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে দলীয় নেতা- নেত্রীদের নতুন করে দায়িত্ব ভাগ- বাঁটোয়ারা
কলকাতা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪: তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে নতুন কয়েকজনকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নেতানেত্রীকে। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কয়েকজনকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, মালা রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাভেদ খান।
মোট তিনটি শৃঙ্খলাভঙ্গ কমিটি তৈরি হয়েছে। একটি সংসদের জন্য। তার সদস্য সুদীপ, ডেরেক, কাকলি, কল্যাণ এবং নাদিমুল হক। দ্বিতীয়টি বিধানসভার জন্য। তার সদস্য শোভনদেব, অরূপ, ফিরহাদ, চন্দ্রিমা, নির্মল এবং দেবাশিস কুমার। তৃতীয়টি দলের। তার সদস্য রাজ্য সভাপতি সুব্রত, অরূপ, ফিরহাদ, চন্দ্রিমা এবং সুজিত বসু। কারও বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠলে ৩ বার শো কজ করা হবে তাঁকে। তিন বারেও কেউ জবাব না দিলে তাঁকে সাসপেন্ড করবে দল।
অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে বলবেন, অমিত মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিল্প সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বলবেন, শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গ নিয়ে বলবেন, গৌতম দেব, উদয়ন গুহ, প্রকাশ চিক বরাইক। বিধানসভা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বলবেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইয়া, মলয় ঘটক, শশী, কুণাল ঘোষ ও সুমন কাঞ্জিলাল। চন্দ্রিমা পাশাপাশি এও বলেছেন, ‘‘দলের নেতা যাঁরা রয়েছেন, যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরা নিশ্চয়ই অন্যান্য বিষয়েও বলবেন। যে যে জায়গাগুলো কারা বলবেন, তা প্রাথমিক ভাবে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তার মানে এটা নয় যে, তাঁরা অন্য বিষয়ে বলতে পারবেন না।’’
এছাড়া অভিষেক পেলেন নতুন দায়িত্ব। নয়াদিল্লিতে (জাতীয় রাজনীতিতে) যা যা ঘটবে, তার প্রেক্ষিতে দলের অবস্থান বা প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি। তিনি দায়িত্ব পেলেন ‘দিল্লির মুখপাত্র’ হিসেবে। এছাড়াও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কোনও বিষয় ‘যুক্তিযুক্ত’ মনে হলে তা নিয়ে বলার অধিকার আছে অভিষেকের। দিল্লির ‘মুখপাত্র’ হিসাবে অভিষেকের সঙ্গেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুস্মিতা দেব, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সাগরিকা ঘোষ এবং কীর্তি আজাদকে।
Comments