জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা
![](https://static.wixstatic.com/media/d468f3_6b892b8379fb471ba3bce77c4387f22f~mv2.jpg/v1/fill/w_594,h_251,al_c,q_80,enc_auto/d468f3_6b892b8379fb471ba3bce77c4387f22f~mv2.jpg)
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা। নিম্ন আদালতের নির্দেশে এই মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করছেন হিন্দুরা। বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর তহখানায় হিন্দুদের পুজো এবং আরতি করার অনুমতি দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। সোমবার মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ করে এমনটাই জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।
অযোধ্যার মতো দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বিবাদ ও বিতর্ক আছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে। ১৯৯৩ সালের গোড়া পর্যন্ত তাঁরা ওখানে পুজো করেছেন। কিন্তু ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ১৯৯৩ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মুলায়ম সিংহ যাদব তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন পুরোহিত ছিলেন সোমনাথ ব্যাস। শৈলেন্দ্রকুমার পাঠক ব্যাস নামে ওই বংশের পুরোহিত এমনটাই জানান আদালতে। হিন্দু পক্ষের দাবি, ‘ব্যাস কা তহখানা’ দীর্ঘ দিন ধরে ‘ব্যাস’ পুরোহিত বংশের দখলে ছিল। তাঁরা এক সময় ওখানে বসবাসও করতেন।
নিম্ন আদালতে জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দুপক্ষের অ্য়াডভোকেট বিষ্ণু শংকর জৈন দাবি করেছিলেন, বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরির আগে সেখানে বিরাট হিন্দু মন্দির ছিল। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি এই দাবি করেন। এএসআই রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, মসজিদ তৈরির জন্য় মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে মসজিদ কমিটির তরফে দাবি জানানো হয়, ১৯৯৩ সালের আগে জ্ঞানবাপী চত্বরের কোথাও পূজার্চনা বা আরতির কোনও প্রমাণ হিন্দুপক্ষ দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির তরফ থেকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে পুজোর বিরোধিতায় মামলার আবেদন করা হয়েছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল। এই আবহে আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে নতুন করে এখানে সমীক্ষাই চালাতে পারে না। এরই মাঝে গত ১ ফেব্রুয়ারি জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজোপাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথমারের মতো। এদিকে কয়েকদিন আগে একটি আরটিআই-এর জবাবে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদের জায়গায় কাটরা কেশবদেব মন্দির ছিল।
এই বাদানুবাদের মধ্যেই সোমবার বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় হিন্দুদের পুজো, আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
Comments