জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের ওপর গুলি, মৃত ২৭, আহত বহু

২২ এপ্রিল, ২০২৫: মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের ওপর গুলি চালিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালালো জঙ্গিরা। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।

পহেলগাঁওয়ের পাহাড়ে একটি রিসর্টের অদূরে পর্যটকেরা আক্রান্ত হন বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে তাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে খবর, পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল জঙ্গিরা। বহুজন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ। নিন্দার ঝড় সব মহলে। এপর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার একটি অংশ রেজিসটেন্ট ফ্রন্ট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের জনে জনে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি করেছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।

ইতিমধ্যেই এলাকা জুড়ে সিআরপিএফ, সেনা, নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে পহেলগাঁও গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তাঁর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদী, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না।’’ কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমি মর্মাহত। আমাদের দর্শনার্থীদের উপর এই আক্রমণ খুবই খারাপ কাজ। এই হামলার অপরাধীরা অমানবিক। নিন্দার কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’ কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন। বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত করবে NIA। NIA সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন NIA আধিকারিকরা।