চাকরিহারাদের ভলান্টারি সার্ভিস দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্ষদ ফের যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে, আন্দোলনে চাকরিহারারা

কলকাতা, ৭ এপ্রিল, ২০২৫: আপাতত স্কুলগুলিতে চাকরিহারাদের স্বেচ্ছায় পরিষেবা (ভলান্টারি সার্ভিস) চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও যোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিল হতে দেবেন না, সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকে এমনটাই জানালেন তিনি। চাকরিহারাদের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে রায়ের ব্যাখ্যা চাইবে। যদি আদালতে সমস্যার সমাধান না-হয়, আইন মেনেই তিনি ‘যোগ্য’দের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেবেন।

চাকরিহারাদের একাংশের সঙ্গে সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করেন মমতা। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসেরা। মমতার সামনে মঞ্চে উঠে আট দফা দাবি পড়ে শোনান চাকরিচ্যুতদের প্রতিনিধিরা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে ‘পাস’ নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে। পাসহীন এবং পাসধারী— কার্যত এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন চাকরিহারারা। যাঁদের কাছে ‘পাস’ নেই, তাঁদের নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে দাবি তুলেছেন, হাত ‘পাস’ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চাকরিহারারা। কিন্তু এই ‘পাস’ কারা দিল, কারা এটি পাওয়ার দাবিদার, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে আংশিক বলে উল্লেখ করলেন চাকরিহারারা। কাল থেকে আন্দোলন শুরু হবে, ধর্মতলায় আন্দোলন হবে। সোমবারও তাঁরা রাত কাটাবেন ধর্মতলায়। চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিমত, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইটা বিরোধীদের খেলা। বিরোধীদের খেলা নয়। এটা নিয়ে রাজ্য সরকারও খেলেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল হোক বা যে কোনও রাজনৈতিক দল হোক না কেন সবাই খেলছে। আমরা এখন ভোটব্যাঙ্ক। যে জায়গাটা আমরা দাঁড়িয়ে সেখানে মানসিক অবস্থা শোচনীয়…আমরা যোগ্যরা একসঙ্গে আছি। জোট বেঁধে আছি। আনটেনটেড জবলেস টিচার্স অ্যান্ড নন টিচিং স্টাফ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরে চাকরিহারাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং বেশ কিছু ধোঁয়াশা থাকলেও সিংহভাগই স্কুলে যেতে ইচ্ছুক। অপরদিকে এদিকে চাকরি খাওয়ার রাজনীতির প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল তৃণমূলের ছাত্রযুবদের মিছিল হবে। কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হবে।জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের রায়ের মডিফিকেশন চাইল বোর্ড। যতদিন না নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে যোগ্যদের চাকরিতে বহাল রাখার আবেদন বোর্ডের।