গগনযান- এর চার মহাকাশচারীর পরিচয় জানাল ইসরো, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
- The Conveyor
- Feb 27, 2024
- 2 min read

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: গগনযান মিশনে যাচ্ছে ইসরো, আগেই ঠিক হয়েছিল। তবে সেখানে করা যাবেন, তা নিশ্চিত ছিলনা। মঙ্গলবার সেটাও নিশ্চিত হয়ে গেল। মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে সেই চার মহাকাশচারীর নাম ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের হাতে তাঁদের 'অ্য়াস্ট্রোনোট উইং' পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুকের ডানদিকে সেই ব্যাজ পরিয়ে দেন তিনি। চার জনই ভারতীয় বায়ুসেনা (আইএএফ)-র আধিকারিক। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণের পরে ‘গগনযান’ মিশনের জন্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ অভিযান গগনযান ঘোষণা করার পর থেকেই সম্ভাব্য মহাকাশচারীদের নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে যথেষ্ট। গনযান মিশনে অংশ নেওয়ার জন্য বহুজন আবেদন করেছিলেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁদের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রথম ধাপে সফল হয়েছিল ১২ জন নভোশ্চর। তাঁদের ক্লিনিকাল, এরোমেডিক্যাল এবং সাইকোলজিকাল পরীক্ষা হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাউন্ডের পর IAM ও ISRO চারজনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয়। ২০২০ সালে প্রথম দিকে ইসরো তাঁদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছিল। সম্ভাব্য অন্য নভশ্চরদের সঙ্গে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই চার জনকেও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে।
কীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বিশেষ ধরনের যোগের মাধ্যমে শারীরিক প্রশিক্ষণও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার জানান, আজ যেটা হল, সেটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিশ্বে ভারতের প্রভাব কতটা বাড়ছে, সেটার প্রমাণ হয়ে দাঁড়াল। মোদী এটাও স্মরণ করিয়ে দেন, মহাকাশে তেরঙা ওড়ানোর জন্য চারজন মহাকাশকারীকে মারাত্মক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আগামিদিনেও করতে হবে। তাই তাঁদের যেন বিরক্ত করা না হয়।
সম্প্রতি গগনযানের সিই২০ ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটি সফল ভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে ইসরো। ওই ইঞ্জিন গগনযানের একটি বিশেষ পর্যায়ে মহাকাশচারীদের শক্তি জোগাবে বলে জানা গিয়েছে। আশপাশের তাপমাত্রা যথেষ্ট কম থাকলে ওই ইঞ্জিন কাজে লাগে। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে নিয়ে যাওয়া হবে গগনযানকে। যে রকেটটি করে মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান সেটির নাম দেওয়া হবে HRLV। পুরো নাম হিউম্যান রেটেড লঞ্চ ভেহিকেল বা লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক ৩।
Comments