কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের তরফে ছাড়পত্র পেয়ে গেল ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক
- The Conveyor
- Jun 6
- 1 min read

৬ জুন, ২০২৫: ছাড়পত্র পেয়ে গেল স্টারলিঙ্ক। টেলিকম মন্ত্রকের তরফে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট (GMPCS) পারমিট দেওয়া হয়েছে স্টারলিঙ্ককে। ২০২২ সাল থেকে এই ছাড়পত্রের জন্য সংস্থাটি অপেক্ষা করছিল। শুক্রবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের টেলিকম মন্ত্রক স্টারলিঙ্ককে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বা মাস্কের সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। টেলিকম মন্ত্রকের তরফে গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট (GMPCS) পারমিট দেওয়া হয়েছে স্টারলিঙ্ককে। এর আগে এয়ারটেলের ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব এবং জিও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস এই ধরনের পারমিট পেয়েছে। মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক, তৃতীয় সংস্থা হিসাবে এই পারমিট পেল।
জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং আরও কিছু কারণে বার বার স্টারলিঙ্কের সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া পিছিয়ে গিয়েছে। অবশেষে মাস্কের সংস্থা কাঙ্ক্ষিত সেই ছাড়পত্র পেল। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট আনার জন্য গত মার্চে মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছিল এয়ারটেল। পরে মুকেশ অম্বানীরাও একই চুক্তি করেন। স্টারলিঙ্কের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ‘লো আর্থ অরবিট’-এ অবস্থিত ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে এই সংস্থা। নিচু অবস্থানের কারণে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া যায়। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্ক ব্যবসা শুরু করলে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারই টেলিকমমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্টারলিঙ্কের স্যাটকম পারমিট পাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তার একদিন পরই এই খবর সামনে এল। উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্প্রতি মাস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাস্ক। সেই আবহেই ভারতের বাজারে মাস্কের সংস্থার ছাড়পত্রের খবর প্রকাশ্যে এল।
Comments