কোনও শিক্ষার্থীর ওপর বাংলা ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবেনা স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী
কলকাতা, ৯ অগাস্ট: কোনও শিক্ষার্থীর ওপর বাংলা ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবেনা। এই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সে যেই মাধ্যমেরই স্কুল হোক না কেন স্কুলের পঠনপাঠনে বাংলাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে রাজ্যে। এবার শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, যে পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতে বাংলা নেই, তাদের ওপর তা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। বরং আলাদা ভাবে তাদের বাংলা ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিতে হবে স্কুলগুলিকে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, কলকাতায় কেউ বাংলাকে প্রথম ভাষা হিসেবে বেছে নিতে চাইলে তা করতে দেওয়া হবে সেই পড়ুয়াকে। আবার কেউ যদি দার্জিলিঙে নেপালি, বা উত্তরবঙ্গে কেউ যদি রাজবংশী ভাষা বেছে নিতে চায়, তাহলে সেটাও করা যাবে। কেউ উর্দুকে প্রথম ভাষা হিসেবে বেছে নিতে চাইলে তা করতে পারবেন। এদিকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত রাজ্যের রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাই পড়াতে হবে রাজ্যের সব স্কুলগুলিতে। এর পাশাপাশি তৃতীয় ভাষা হিসাবে কোনও আঞ্চলিক ভাষা পড়ানো হবে (ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস এইট অব্দি)। তা হিন্দিও হতে পারে, সাঁওতালিও হতে পারে। মূলত কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতিতেমাতৃভাষার ওপর জোর দিতেই নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে। রাজ্যেও তাই করা হচ্ছে। তাছাড়া আঞ্চলিক জনসংখ্যার ভিত্তিতে তৃতীয় ভাষা শেখানো হবে পড়ুয়াদের।
বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশ নও গঠন করেছে রাজ্য সরকার। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন। বেসরকারি স্কুলগুলিরও প্রতিনিধি থাকবেন এই কমিশনে। এ বার থেকে আর যথেচ্ছ বেতন নিতে পারবে না বেসরকারি স্কুলগুলি। তাদের নির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে রাখতেও এই কমিশন কাজ করবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই শিক্ষানীতির বিষয়ে বিস্তারিত খুব শিগগিরিই ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।
Comments