কর্নাটক ট্যুরিজম TTF কলকাতা ২০২৩-এ তার রেঞ্জ অফ অফারের প্রদর্শন করবে
কলকাতা, ১২ জুলাই: আগামী ১৪ থেকে ১৬ জুলাই বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে
TTF কলকাতা ২০২৩। এই অনুষ্ঠানে কর্ণাটক ট্যুরিজম অংশগ্রহণ করছে। এটি একটি বিশিষ্ট ভ্রমণ ও পর্যটন ইভেন্ট যা কর্ণাটক পর্যটনের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাতে রাজ্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং বিস্তৃত দর্শকদের কাছে পর্যটন সম্ভাবনার বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়। TTF হল ভারতের ঐতিহ্যমন্ডিত এবং জনপ্রিয় ট্র্যাভেল ট্রেড শো নেটওয়ার্ক যা ভারতের ভ্রমণ জগতের দ্বার উন্মোচন করে, বিশ্বের দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলা মার্কেটগুলির মধ্যে একটি৷
এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন রাজ্যকে একটি সর্বাত্মক পর্যটন গন্তব্য হিসাবে প্রচার করা যা বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে। কর্ণাটকের পর্যটন পরিষেবা প্রদানকারীরা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে। কর্ণাটক মন্ত্রমুগ্ধ সৌন্দর্য এবং মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতার দেশ।
রাজ্যটি প্রাচীন মন্দির, প্রাসাদ, ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, পার্বত্য অঞ্চল, দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানগুলির একটি অসাধারণ মিশ্রণের মেলবন্ধনের জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এখানে রয়েছে UNESCO স্বীকৃত হাম্পি ও পাট্টডাকলের মত ঐতিহ্যবাহী স্থান, মহীশূর প্রাসাদ, বেলুর ও হালেবিডুর হোয়সালা মন্দিরের স্থাপত্য এবং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ।
কর্ণাটকের সমৃদ্ধ ইতিহাস কদম্ব, চালুক্য, রাষ্ট্রকূট, হোয়সালা, বিজয়নগর এবং ওয়াদেয়ারের মতো বিখ্যাত রাজবংশের সাথে জন্য প্রসিদ্ধ। এই রাজবংশগুলি ভারতের মাটিতে নিজস্ব স্মৃতি রেখে গেছে যা ভারতের সংস্কৃতি, স্থাপত্য এবং ঐতিহ্যকে এক আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
রাজ্যটিতে ৭৪৭টি অনন্য সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ, মন্দির এবং প্রাসাদের একটি চিত্তাকর্ষক সংগ্রহ রয়েছে। এই ঐতিহাসিক সম্পদগুলি কর্ণাটকের গৌরবময় অতীতের একটি পরিচয় দেয় এবং ভারতের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য এবং স্থাপত্যের উজ্জ্বলতার প্রমাণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
পশ্চিম ঘাট পর্বতমালার অপরূপ ল্যান্ডস্কেপ বাকরুদ্ধ করে তোলে পর্যটকদের। এছাড়াও রাজ্যে ৩৫টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং ৫টি জাতীয় উদ্যান রয়েছে যেখানে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। ৩২০ কিলোমিটার উপকূলরেখা সহ, কর্ণাটকের সৈকতগুলি তাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এবং সেখানে বিভিন্ন রকম ওয়াটার স্পোর্টস এর ব্যবস্থা রয়েছে।
কর্ণাটকে কুর্গ, চিকমাগালুর, সাকালেশপুরা এবং কোদাচাদ্রির মতো সুন্দর হিল স্টেশন রয়েছে যেখানে পর্যটকরা হোমস্টে, কফি, স্থানীয় খাবার এবং অনন্য ঐতিহ্যগুলির সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে পারবেন তা বলাই যায়।
জঙ্গলে হাতি এবং বাঘ দেখার জন্য সেরা জায়গা হল কাবিনি, বান্দিপুর, ডান্ডেলি এবং নাগরহোল। রাজ্যটির একটি বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। দশেরা, কারাগা এবং উগাদির মতো বিভিন্ন উৎসব উদযাপিত হয় এখানে যা রাজ্যের প্রাণবন্ত এবং রঙিন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রদর্শন করে।
কর্ণাটক তার নিজস্ব রন্ধনপ্রণালী এবং সুস্বাদু ডিশের জন্য বিখ্যাত, যেখানে বিভিন্ন ধরণের নিরামিষ এবং আমিষ খাবার যেমন মসলা দোসা, বিসি বেলে হুলিয়ানা, ইডলি, রাগি ইত্যাদি আরও অনেক মনোমুগ্ধকর ডিশ রয়েছে।
প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পদ ছাড়াও, কর্ণাটকে ভারতের আইটি হাব হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরু শহর শুধু দেশেই নয় বিদেশেও যথেষ্ট আলোচিত শহর। অসংখ্য স্টার্টআপ এবং ইউনিকর্নের সাথে, বেঙ্গালুরু সিলিকন ভ্যালি এবং এশিয়ার স্টার্টআপ স্বর্গ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। শহরটি প্রতিভা, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি অনন্য মিশ্রণ অফার করে।
বেঙ্গালুরু এবং মাইসুরু প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং যোগব্যায়ামের জন্য বিশিষ্ট কেন্দ্র হিসাবেও প্রসিদ্ধিলাভ করেছে, যেখানে অসংখ্য আয়ুর্বেদিক সুস্থতা কেন্দ্র রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিস্তৃত চিকিৎসা এবং থেরাপি প্রদান করে।
রেশম, মশলা এবং চন্দন কাঠের জায়গা হিসাবে পরিচিত কর্ণাটক তার মনোমুগ্ধকর হিল স্টেশন, অসাধারণ জলপ্রপাত, তীর্থক্ষেত্র এবং অসাধারণ সমুদ্র সৈকত দিয়ে সজ্জিত একটি উপকূলরেখার জন্য বিখ্যাত। প্রত্নতাত্ত্বিক, ধর্ম, ইকোট্যুরিজম, বন্যপ্রাণী এবং আরও অনেক কিছু জুড়ে পর্যটন ল্যান্ডস্কেপের বিচিত্র পরিসর সহ, রাজ্যটি বিচক্ষণ ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অবশ্য দর্শনীয় স্থান।
TTF কলকাতা ২০২৩-এ কর্ণাটক পর্যটনের অংশগ্রহণের লক্ষ্য হল প্রত্নতত্ত্ব এবং ধর্ম থেকে শুরু করে ইকোট্যুরিজম ও বন্যপ্রাণী পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন ল্যান্ডস্কেপ তুলে ধরা। নিঃসন্দেহে, কর্ণাটক সারা বছর ভারতের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হিসাবে এবং বৈচিত্র্যের সম্পদসমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আপনি একটি শান্ত সমুদ্র সৈকত যাত্রা, প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রাসাদগুলির অন্বেষণ, রোমাঞ্চকর বন্যপ্রাণী এনকাউন্টার, বা আনন্দদায়ক স্কুবা ডাইভিং অ্যাডভেঞ্চার- যাই খুঁজুন না কেন, রাজ্যের পর্যটন শিল্প প্রতিটি ভ্রমণকারীর ইচ্ছা পূরণ করে৷
কর্ণাটক পর্যটন বুথের দর্শনার্থীরা ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বিস্তারিত জানার, ট্যুরিজম প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করার এবং তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ পাবেন। Hall B, stand no. B100 এ গিয়ে দর্শনার্থীরা কর্ণাটক সম্বন্ধে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
Edited By
Swarnali Goswami
Comments