top of page

করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকান্ডে নয়া মোড়


কলকাতা, ৭ জুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর প্রায় পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। রেলের তরফে প্রাথমিক রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বাহানগা স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। রেল আধিকারিকদের তরফে প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, বাহানগা স্টেশনের সিগন্যাল মেন লাইনের জন্য দেওয়া ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। তবে ১৭এ পয়েন্ট লুপ লাইনের জন্য 'সেট' করা হয়েছিল।

কিন্তু এই রিপোর্টের বিরোধিতা করলেন রেলের তদন্তকারী দলেরই এক সদস্য। তাঁর দাবি, ডেটাব্লগার থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে যে ১৭এ পয়েন্টটি মেনলাইনের দিকেই ছিল এবং সেটি লুপ লাইনের জন্য 'সেট' করা ছিল না। রেলের আধিকারিক দাবি করলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে সেট করা হয়ে থাকতে পারে। এদিকে রেলের সেই আধিকারিকের সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন রেল মন্ত্রকের বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিকও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, 'পয়েন্ট নিয়ে সেই রেল আধিকারিক যেটা বলেছে, সেটাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ ইন্টারলকিং ব্যবস্থা এভাবেই কাজ করে। মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া থাকলেও পয়েন্ট লুপ লাইনের জন্য সেট করা যায় না।'

এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। কারন, করমণ্ডলকে পাস করানোর জন্য বাহানগার বাইরে লুপ লাইনে দাঁড় করানো ছিল মালগাড়ি। করমণ্ডলের যাওয়ার কথা ছিল মেন লাইন দিয়ে। সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

কিন্তু সিগন্যালিং ব্যবস্থায় যদি ত্রুটি না থাকে, তাহলে কেন বা কী কারনে করমন্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল? উঠছে প্রশ্ন। তৈরি হচ্ছে ধন্দ। তদন্ত মোড় নিতে পারে অন্য খাতে।


 
 
 

Comentários

Avaliado com 0 de 5 estrelas.
Ainda sem avaliações

Adicione uma avaliação

Top Stories

প্রতিদিনের খবর এবং বিভিন্ন ফিচার ভিত্তিক লেখা, যেখানে খবরের সত্যতা তথা লেখনীর উৎকৃষ্টতা প্রাধান্য পায়। ফিচার ছাড়াও যে কোনও রকম লেখনী শুধুমাত্র উৎকৃষ্টতার নিরিখে গুরুত্ব পাবে এই সাইটে

Thanks for subscribing!

  • Whatsapp
  • Youtube
  • Instagram
  • Facebook
  • Twitter

The Conveyor

bottom of page