এবারে পুরসভার নিয়োগ পদ্ধতিতেও দুর্নীতির আশঙ্কা, যার হোতা অয়ন শীল
কলকাতা, ২২ মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের সল্টলেক অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। মিলেছে থরে থরে ওএমআর শিট বান্ডিল। মনে করা হচ্ছে সেগুলি পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট। তদন্তকারীদের একাংশের আশঙ্কা, পুরসভাগুলির নিয়োগের ক্ষেত্রেও হয়তো দুর্নীতি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে আদালতের তরফে তদন্তের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
অয়নের অফিস থেকে পাওয়া এই তথ্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনি ডিপার্টমেন্টকে বলেছেন, "আমাদের কাছে কী কাগজ রয়েছে বা তথ্য রয়েছে তা দেখে নিতে। এখনও আমাদের আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই আগ বাড়িয়ে কিছু করব না। তবে সত্যি সত্যি কোনও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তো স্পষ্ট নয়।” ফিরহাদের সংযোজন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি পুরসভাগুলিতে গ্রুপ ডি- র নিয়োগগুলি যাতে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে হয়।”
এদিকে পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মিলিয়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের বরাত দেওয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থাকে। তবে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমানে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীরা হালদার। তিনি বলেন, "এই নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছিল৷ আমি অয়ন শীলের নাম কখনও শুনিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করেছিলাম। কোনও রাজনৈতিক যোগ বা চাপ ছিল না"।
এবারে দেখার এই জট কিভাবে ছাড়ায় তদন্তকারী দল।
Comments