top of page

একদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি কমল পাঁচ শতাংশ




কলকাতা, ২ অগাস্ট: বৃষ্টির ঘাটতি ছিল দক্ষিণবঙ্গে। অপর দিকে, ভেসে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা। কিন্তু রাজ্যে সার্বিক ভাবে বৃষ্টির ঘাটতি বেড়েই গিয়েছে। গতকাল সারা দিনে যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে এক ধাক্কায় সেই ঘাটতি অনেকটাই কমেছে। ঘূর্ণাবর্ত এবং সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি কমেছে প্রায় সাত শতাংশ। কলকাতায় ঘাটতির পরিমাণ কমেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ।

২ অগস্ট, শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এখন বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ নেমে এসেছে ৪ শতাংশে, যেখানে মোট ১ জুন থেকে ১ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। একদিনেই ঘাটতির পরিমান কমেছে অনেকটাই। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৯ শতাংশ। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, সেই ঘাটতির পরিমাণ কমে হয়েছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক দিনে কলকাতায় ঘাটতির পরিমাণ পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪২ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনাতেও তা-ই ছিল। হুগলি এবং পশ্চিম বর্ধমানে ঘাটতি পূরণ হয়ে স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশিই বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হুগলিতে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৬ শতাংশ। আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হুগলিতে পাঁচ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, সেখানে এক শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখন ঘাটতির পরিমাণ কমে হয়েছে ৩১ শতাংশ। ঘাটতির পরিমাণ কমে ৩৪ শতাংশ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় । বাঁকুড়ায় বৃহস্পতি থেকে শুক্রবার, এক দিনে ঘাটতি কমেছে ১২ শতাংশ। পুরুলিয়ায় সাত শতাংশ কমেছে। নদিয়ায় বৃষ্টির ঘাটতি এক দিনে ৫৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৫ শতাংশ।

উত্তরবঙ্গে একমাত্র জেলা উত্তর দিনাজপুরে ঘাটতির পরিমাণ যদিও ৫২ শতাংশই রয়ে গিয়েছে। কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টিই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার একটানা বৃষ্টির জেরে চুঁচুড়া ও চন্দননগরের মধ্যে দেবীপুর এলাকায় তিন নম্বর লাইনের পাশে ধস নামে। যার ফলে সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয় ট্রেন পরিষেবা। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ধীর গতিতেই গাড়ি চালানো হচ্ছে।

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating

Top Stories

bottom of page