আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে
২০ অগাস্ট, ২০২৪: ১৮ অগাস্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করেছিল শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সুয়োমোটো মামলা গ্রহণ করেছিল। মঙ্গলবারই এই মামলার প্রথম শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টে নয়, আরজি কর মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টেই। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আরজি কর কাণ্ডে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে CBI-কে মামলার তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা করতে হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। ২২ অগস্ট, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আজ প্রশ্ন করেন, মহিলারা নিরাপদে কাজে যেতে না পারলে, সমাজে সবার অধিকার থাকবে কী ভাবে? তাঁর মন্তব্য, “মৃতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন"। অভিযোগ উঠেছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। অধ্যক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন। এমনকি পরিবারকে মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের তরফে আইনজীবী তথ্য সঠিক নয় বলে জানান। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটি পরিষ্কার যে খুন করা হয়েছে। প্রথমে এফআইআরে কি তা উল্লেখ ছিল? অধ্যক্ষ কী করেছেন?” প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।” ১৫ অগাস্ট মধ্যরাতে হাসপাতাল ভাঙচুর করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?” সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি, “৫০০ লোকের জমায়েত হলে আমরা বলি ভাল লোক এসেছে। সেখানে সাত হাজার লোক হাসপাতাল ভাঙচুর করল। এটা কি আইনশৃঙ্খলার নমুনা?” আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে আজ বার বার প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে মঙ্গলবার সাত জনের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে চিকিত্সকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী করণীয় তা নিয়ে পরামর্শ দেবে এই টাস্ক ফোর্স। গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে আগামী তিন সপ্তাহে অন্তবর্তী রিপোর্ট দেবে এই জাতীয় টাস্ক ফোর্স। এরপর আগামী দু'মাসে মধ্যে জমা হবে চূড়ান্ত রিপোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সব হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছে।
Kommentare