আরজি কর মামলায় ১১ নভেম্বর থেকে রোজ শুনানি, কিন্তু প্রিজন ভ্যান থেকে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়
কলকাতা, ৪ নভেম্বর, ২০২৪: ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটের এজলাসে রোজ শুনানি হবে আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলার। আজ সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ধর্ষণ এবং খুনের একাধিক ধারায় ধৃত সিভিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় ওই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের ধারা প্রয়োগ করেছে সিবিআই। এদিন দুপুরেই শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় অভিযুক্তকে। চারদিকে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। গ্রেফতারির পর সোমবারই প্রথম জেল থেকে বেরোয় সঞ্জয়। আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে প্রিজন ভ্যানের জানলা থেকে চিৎকার করে সে বলতে থাকে,"‘আমার কথা শোনেনি। আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব কিছু দেওয়া হচ্ছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি।" সে আরও বলে, "আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে, তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ। আসলদের বাঁচানোর জন্য আমায় ফাঁসিয়েছে।" চিৎকার করে সে ভারতীয় সংবিধানের ন্যায় নিয়েও প্রশ্ন তোলে। বলে,"আমি জজসাহেবকে বলছি যে স্যর, আমি কিছু করিনি। আমায় উপর থেকে নীচে নামিয়ে দিল। এটা কি ন্যায়? ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়?"
আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের সামনেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত ধৃত ওই সিভিক। U/s 64, 66 & 103(1) of BNS এই ধারাতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। এই ধারাতে চার্জ গঠন করা হয়। ঘটনার ৮৭ দিন ও চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় চার্জ গঠন হল আরজি কর মামলায়। আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত এক ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ধারায় সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে এই চার্জ গঠন করা হয়েছে। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ বিচারক অনির্বাণ দাস-এর এজলাসে সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও খুনের ধারাতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই।
Comments