আরজি কর মামলা অন্য রাজ্যে যাবেনা, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন চন্দ্রচূড়
- The Conveyor
- Nov 7, 2024
- 2 min read

৭ নভেম্বর, ২০২৪: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরাতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। মামলার বিচার পর্ব চলবে পশ্চিমবঙ্গের আদালতেই। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় ভিন্রাজ্যে মামলাটি সরানোর কথা উঠলে সেই আর্জি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে প্রধান বিচারপতি স্পষ্টভাষায় বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা মণিপুরের মতো ঘটনায় এরকম করেছি। কিন্তু এই মামলায় আমরা এরকম কিছু করব না। মামলার কোনও স্থানান্তর হবে না।’ সেই সময় এক আইনজীবী দাবি করেন যে পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থার উপর থেকে সাধারণ মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন। বিরক্ত হয়ে চন্দ্রচূড় বলেন, 'আপনি কার হয়ে মামলা লড়ছেন? কোর্টে স্রেফ ক্যান্টিনের গসিপ হচ্ছে।'
পর পর দুদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা না ওঠায় কার্যতই রাজ্যবাসী শীর্ষ আদালতের ওপর, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছিল। তবে যাই হোক, আজ অন্তত মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে শুনানি হল। এবারে বিচারপর্ব শুরু হোক, সেকথা আজ বলেওছেন প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর, সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের মামলার বিচার শুরু হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর ষষ্ঠ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে জানানো হয়েছে, খুনের ঘটনার মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সেই পরিস্থিতিতে চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে পরবর্তী স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ)। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, দুটি ক্যাটেগরিতে সুপারিশ জমা পড়েছে। প্রথমত, যৌন হিংসা রোখা। দ্বিতীয়ত, শারীরিক হিংসা রোখা। টাস্ক ফোর্স সুপারিশ করেছে যে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সেই বিষয়টি করতে হবে। জুনিয়র ডাক্তাররা আর্জি জানান যে টাস্ক ফোর্সে মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের রাখা হোক। সেই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান যে সুপারিশ জমা দেওয়া হোক।
Comments