আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্ত ও ডেথ সার্টিফিকেটের সময়ের গরমিল, তিনটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল
কলকাতা, ২৯ অগাস্ট, ২০২৪: আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক খুন হওয়ার পর ইতিমধ্যেই ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। জেল হেফাজতে আছে অভিযুক্ত সঞ্জয়। ৯ অগস্ট ঠিক কখন মৃত্যু হয়েছিল চেস্ট মেডিসিন বিভাগের তরুণী চিকিৎসকের, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে মিলই নেই মৃত্যুর শংসাপত্রের? পানিহাটি শ্মশানের পক্ষ থেকে বিস্ফোরক দাবি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালের মর্গে এসেছিল সিবিআই। এখানে অনিয়ম রয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ অগস্ট ভোর ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয় অভয়ার। কিন্তু পানিহাটির যে শ্মশানে অভয়াকে দাহ করা হয়েছিল সেখানের রেজিস্টারে লেখা, ‘মৃত্যুর সময় দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট।’ এই রেজিস্টার দেখেই ঘাট সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে। এই বদলে যাওয়া সময় নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেমন করে সময়টা বদলে গেল? উঠছে প্রশ্ন। এই বিস্তর সময়ের অসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ জানান অভয়ার বাবা–মাও।
এই বিষয়ে শ্মশানের ম্যানেজার বলেন, ‘যে কেউ বললেই তো আর লিখতে পারব না। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল যে সময়টা সেটাই লেখা হয়েছে। এখানে কোনও ভুল হচ্ছে না।’
অপরদিকে তিনটি ফোন কলের টুকরো ভাইরাল হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা দাবি করেছিলেন, গত ৯ অগস্ট সকালে তাঁরা দু’বার ফোন পেয়েছিলেন। সেই ফোনে প্রথমে তাঁদের বলা হয়েছিল, ‘‘আপনাদের মেয়ে অসুস্থ।’’ পরে আবার ফোন করে বলা হয়, ‘‘আপনাদের মেয়ে সুইসাইড করেছে।’’ কলকাতা হাই কোর্টেও নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আইনজীবী একই দাবি করেন। সেই কথোপকথনের অডিয়ো প্রকাশ্যে চলে এল। তবে দু’টি ফোন কলই তিনটি ভাগে ভেঙে প্রকাশ্যে এসেছে? না কি তিন বারই ফোন করা হয়েছিল? না কি এক বারের ফোন কলই তিনটি ক্লিপিংয়ে প্রকাশ্যে এসেছে, তা স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের সঙ্গে পরিবারের মধ্যে ফোনের কথোপকথন ভাইরাল নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ”কোথা থেকে কীভাবে ভাইরাল হয়েছে, আমরা জানি না। আমরা এর দায় নেব না।” ফোনের কণ্ঠস্বর তারই কিনা সে ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবার মন্তব্য, "আপনারা বলছেন বটে, তবে আমি দেখিনি।" এবারে আরজি কর হাসপাতালের তরফে নির্যাতিতার পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে ‘ভুল তথ্য’ নিয়ে কী মন্তব্য করা হয়, সেটাই দেখার।
Comments