আগামী ৭ মে কয়েকটি রাজ্যে মক ড্রিল করার জন্য় নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
- The Conveyor
- May 5
- 2 min read

৫ মে ২০২৫: একাধিক রাজ্যকে সামরিক মহড়া চালানোর নির্দেশিকা পাঠাল অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে এবার বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে মক ড্রিল করার জন্য় নির্দেশিকা জারি করল ভারত সরকার। কার্যত কোনও হামলা হলে তার জন্য কী করতে সেটাই জানা যাবে এই মক ড্রিলে। সেটাই শিখে নিতে হবে সাধারণ মানুষকে। আগামী ৭ মে ওই সমস্ত রাজ্যকে সামরিক মহড়া দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমে বাড়ছে। এই অস্থির প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যেই এই মক ড্রিল পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। এই মহড়ায় আকাশপথে হামলা চালালে কী ভাবে সাইরেন বাজানো হবে, কীভাবে কাজ করবে পাবলিক অ্যালার্ট সিস্টেম? সেসব পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কয়েকটি রাজ্যের সরকারকে৷ পাশাপাশি, আকাশপথে হামলা বা বোমা হামলার সময় কী করতে হবে তা নিয়ে সাধারণ নাগরিক এবং ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনিং দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি হওয়া নির্দেশিকায়৷ সেদিন এলাকা অন্ধকার করেও এই মকড্রিল হতে পারে। অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান্ট এবং স্থাপনাগুলির আগাম ছদ্মবেশ ধারণ এবং দ্রুত এলাকা খালি করার পরিকল্পনা আপডেট করা এবং তাদের মহড়া দেওয়া। বিশেষ বিশেষ কারখানাকে, সংস্থাকে ক্যামোফ্লেজের আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় দ্রুত এবং সুশৃঙ্খল ভাবে অসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মহড়াও দিতে বলা হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। দুই দেশই একে অন্যের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে। এ দিকে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এক টানা যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকে টানা ১১ দিন নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান৷ পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারত। একই সঙ্গে দুই দেশই তাদের সামরিক প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে।
রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্য়ে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য় এই মক ড্রিল করা হয়। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে এই মকড্রিল হয়েছে। সেই সময়ের জন্য় আধ ঘণ্টার জন্য় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। যতক্ষণ এই ড্রিল চলে ততক্ষণ হুটার বাজছিল। কোথাও ইনভার্টার বা জেনারেটর চালানো হয়নি। রাস্তায় গাড়ির আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ছিল পুলিশের পাহারা। এই মহড়া দেশের প্রত্যাঘাত কৌশলের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Comentários