আগামী ১৫ জুন, 'বিপর্যয়' ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ঘটবে। এদিকে বঙ্গোপসাগরেও অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত
১২ জুন: গত ৬ জুন 'বিপর্যয়' ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছিল। এবার সম্ভবত কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন। গুজরাতের উপকূল বিভাগে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে ভারতের পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরেও অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতাও।
গত কয়েক দশকে অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী সাইক্লোন এই বিপর্যয়। বিষ্ণ উষ্ণায়নের কারণে আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া সাইক্লোন নাকি বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আগে ১০ দিন ধরে আরব সাগরের উপর তাণ্ডব চালিয়েছে বিপর্যয়। কোনও ঘূর্ণিঝড় যদি সাগরে বেশিদিন ধরে অবস্থান করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যেতে পারেন না। এতে তাঁদের জীবিকাতে প্রভাব পড়ে। একটি ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রের উপর যত বেশি সময় থাকবে তত বেশি শক্তি এবং আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়বে তাতে। ঝড়টি আরও তীব্র হবে এবং ল্যান্ডফলের সময়ে আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ঘটবে। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। আইএমডি- র পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ১৫ জুন দুপুরের দিকে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের ওপর দিয়ে যাবে। গুজরাটের কচ্ছের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সেখানকার অস্থায়ী শিবিরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরগুলিতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
এদিকে বঙ্গোপসাগরও উত্তাল হয়েছে। এর জেরে আজ ৪০ থেকে ৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে দক্ষিণপূর্ব এবং দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। শ্রীলঙ্কা উপকূল, তামিলনাড়ু উপকূল, আন্দামানেও সাগর উত্তাল থাকবে। এছাড়া পূর্বমধ্য এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরেও ঝড়ে গতি প্রতি ঘণ্টায় ৫৫ কিমি ছুঁতে পারে।
পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকাতেই হবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও।
コメント