অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ২৪ ঘণ্টার জন্য সেন্সর করল কমিশন, প্রয়োজনে আদালতে যাবেন জানালেন অভিজিৎ
কলকাতা, ২১ মে, ২০২৪: প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রচার করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এই শাস্তি দিল কমিশন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। আজ সোমবার বিকেল ৫টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁকে সেন্সর করা হল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ায় তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৎসিত ও অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রকাশ্য সভায় মমতাকে কুকথা বলার জন্য অভিজিৎকে গত ১৭ মে নোটিস পাঠিয়েছিল কমিশন। জানিয়েছিল, বিজেপি প্রার্থী জবাব না-দিলে একতরফা পদক্ষেপ করা হবে। ২০ মে, সোমবার কমিশনকে জবাব দিয়েছিলেন অভিজিৎ। কিন্তু সেই জবাবে নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন, তাই এই সেন্সর।
আগামী ২৫ মে ভোট রয়েছেন ওই কেন্দ্রে। তার আগেই এই ঘটনা বিজেপির কাছে বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন অভিজিৎ। প্রচারে 'নিষিদ্ধ' করে তাঁর মানহানি করেছে নির্বাচন কমিশন। এমনই দাবি করলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনে আর্জি জানাবেন তিনি। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি কমিশনকে জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলাম, যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তার আগে যেন অতিরিক্ত জবাব (সাপ্লিমেন্টরি রিপ্লাই) দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু কোনও সুযোগ না দিয়েই কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে।’’ দরকারে কমিশনের এই নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে তিনি আদালতে যাবেন, এমনও বলেন।
অভিজিতের বিরুদ্ধে কমিশনের পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি মহিষাদলে এসে কী সব বলে গিয়েছেন। তখন কি নির্বাচন কমিশন ঘুমোচ্ছিল? বাপ-বেটা, গদ্দার— কত কী বলেছেন। ওঁদের জন্য এক নিয়ম আর অভিজিৎ গাঙ্গুলির জন্য আলাদা নিয়ম?’’
চারদিনের মাথায় ভোট ওই অঞ্চলে। এই মুহূর্তে এমন পদক্ষেপ ভোটের হাওয়া কোন দিকে ঘোরে তা অবশ্যই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
Comments