অবশেষে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিল বিজেপি, অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়বেন অভিজিৎ
কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল বিজেপি। রাজ্যের ৪১টি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। তবে ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীর নাম ঘোষণা আটকে ছিল এতদিন। আজ, ১৬ এপ্রিল অবশেষে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। অভিষেকের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে লড়তে নামছেন বিজেপির অভিজিৎ দাস ওরফে ববি।
বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার আগে নানারকম আলোচনা চলছিল৷ উঠে এসেছিল এক আইনজীবী ও এক মহিলা আইনজীবীর প্রসঙ্গ৷ কানাঘুষো চলছিল রুদ্রনীল ঘোষ বা কৌস্তভ বাগচীকেও করা হতে পারে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই প্রার্থী করল না গেরুয়া শিবির৷ বরং প্রার্থী করা হল একেবারে স্থানীয় এক নেতাকেই৷ এই নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ৪২তম এবং সর্বশেষ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। শোনা যাচ্ছে অভিজিৎ ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংগঠনিক কাজ করছেন৷ কেন্দ্রের আনাচ-কানাচ হাতের তালুর মতো তিনি চেনেন৷ সেই কারণেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, অভিজিৎ দাস ওরফে ববি রাজ্য বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের কো-কনভেনার হিসাবে কাজ করছেন এর আগে। এই মুহূর্তে বিজেপির নির্বাচন সংক্রান্ত যে ম্যানেজমেন্ট টিম, তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি জেলা সভাপতিও ছিলেন এক সময়ে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে নাকি অভিজিৎ দাসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী হিসেবে। এই আবহে দলের 'আদি' নেতার ওপরে ভরসা রাখল দিল্লির হাইকমান্ড। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার- সহ সঙ্ঘ পরিবার ববিকে প্রার্থী করার দাবি তুললেও দলেরই কেউ কেউ চাইছিলেন বাইরে থেকে ‘হেভিওয়েট’ কাউকে এনে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করুক দল। তাই দলের অন্দরেই চলছিল টানাপোড়েন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ববি। তবে জয় থেকে সে বছর ছিলেন অনেক দূরে। অভিষেক যেখানে ৫ লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন, ববি সেখানে পেয়েছিলেন দু’লক্ষের সামান্য বেশি ভোট। ২০১৯ সালে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি। বদলে বিজেপি প্রার্থী করেছিল নীলাঞ্জন রায়কে। তবে তিনি দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে থেকেছেন। এই আবহে তাঁকেই এই কঠিন আসনে প্রার্থী করার পক্ষে মত দেন সুকান্ত। বিজেপির নির্বাচনী কমিটি সেই প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনার পরে তাতে সায় দিল।
Comentários